তবে নিহত কল্পনার ভাই রিপন মোহন্ত দাবি করেন, তার বোন ও ভগ্নিপতির মধ্যে অনেক দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামীর উপর অভিমান করে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে কল্পনা রানী মোহন্ত (৩৩) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে উপজেলার তালোড়া স্টেশনের কাছে বেলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্বজনরা দাবি করেছেন, তিনি স্বামীর উপর অভিমান করে আত্মহননের পথ বেছে নেন।
রেলওয়ে পুলিশ বগুড়া ফাঁড়ির এসআই মোস্তাফিজার রহমান খান জানান, “নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
নিহত কল্পনা রানী মোহন্ত কাহালু উপজেলার পালপাড়ার পলাশ মোহন্তের স্ত্রী। তাদের সংসারে দু’টি ছেলে সন্তান রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সান্তাহার ছেড়ে আসা বোনারপাড়াগামী সেভেনআপ মেইল ট্রেন বুধবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া স্টেশনের কাছে বেলতলা এলাকায় পৌঁছালে গৃহবধূ কল্পনা রানী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। এতে তার মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনার পরপরই পরিবারের সদস্যরা এসে লাশ শনাক্ত করেন।
নিহত কল্পনার ভাই রিপন মোহন্ত দাবি করেন, তার বোন ও ভগ্নিপতির মধ্যে অনেক দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এতে তার বোন ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
তালোড়া স্টেশন মাস্টার মারুফা আকতার শারমিন ট্রেনে কেটে গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রেলওয়ে পুলিশ বগুড়া ফাঁড়ির এসআই মোস্তাফিজার রহমান খান জানান, “কল্পনা রানী স্বামীর বাড়ি কাহালু থেকে পার্শ্ববর্তী দুপচাঁচিয়া উপজেলায় কেন এসেছিলেন তা জানা যায়নি। এছাড়া আত্মহত্যার কোনো প্রমাণ এখনও মেলেনি। ওই গৃহবধূ ট্রেনে কেটে মারা গেছেন।”
তিনি বলেন, “দুপুরে লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে রেলওয়ের সান্তাহার থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।”
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।